ওয়েব ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) ফের আক্রমণ শানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। নয়াদিল্লির ইন্দিরা ভবন অডিটোরিয়ামে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ তুলে বলেন, কর্নাটকের নির্বাচনী এলাকার ভুয়ো আবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভোটারদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা কমিশনকে নিশানা করে বলেন, কর্নাটকের আলন্দ আসনে ৬,০১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। জালিয়াতি তখনই প্রকাশ পায় যখন একজন বুথ-স্তরের আধিকারিক জানতে পারেন যে তাঁর নিজের কাকার ভোটও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে, বিশেষ করে কর্নাটকের মহাদেবপুরা আসনে, যেখানে এক লক্ষেরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে।
ফের ভোট চুরির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, কোথাও আবার অবৈধ ভাবে ভোটারদের নাম ঢোকানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রের উদাহরণ দেন তিনি। ওই কেন্দ্রে অন্তত ৬০১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল। রাহুলের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সফ্টঅয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “অলন্দ কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্র। কেউ কেউ ৬০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি না ২০২৩ সালের ভোটে ঠিক কত জনের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা অবশ্যই ৬০১৮-র বেশি হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় মোদির অবদান গত ১১ বছরে
রাহুলের অভিযোগ, দেশের লক্ষ লক্ষ ভোটারকে টার্গেট করা হচ্ছে। যে সমস্ত সম্প্রদায় বিরোধীদের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন যেমন দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘু, ওসিবি, তাঁদের বেশি করে নিশানা করা হচ্ছে। এই অভিযোগগুলি আমাদের কাছে আগেও ছিল। এ বার ১০০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে।’ মঞ্চের পিছনে থাকা স্ক্রিনে কয়েকটি ফোন নম্বর তুলে ধরে রাহুল দাবি করেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফর্ম পূরণ করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে ওই নম্বরগুলি থেকে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দেওয়া সম্ভব হল, সেই প্রশ্ন তোলেন রাহুল।
এই অভিযোগের নির্বাচন কমিশন এবং দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে নিশানা করেন কংগ্রেস নেতা। রাহুল বলেন, “ভারতের গণতন্ত্রকে যাঁরা ধ্বংস করেছেন, তাঁদের রক্ষা করছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। দেশে স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার বদলে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। যাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” একই সঙ্গে রাহুলের সংযোজন, “জ্ঞানেশ কুমারজি ভোট চুরিকে রক্ষা করছেন। এটা নিয়ে এখন আর কোনও সংশয় নেই।”
Example number ONE:
A lady called Godabai. Someone created fake logins, deleted 12 voters, and attempted to delete—because this attempt was stopped. Godabai, of course, has no idea.These were the cell phone numbers that were used to delete these people from voter list. These… pic.twitter.com/UzYkIv2opS
— Congress (@INCIndia) September 18, 2025
দেখুন ভিডিও